আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা এবং জুলাই সনদ প্রকাশের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন জুলাই আন্দোলনে আহতরা। রোববার সকাল থেকেই শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা।
এরআগে শনিবার রাত থেকে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন এবং সেখানেই রাত কাটিয়েছেন।
আন্দোলনরতরা বলেন, আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে স্থায়ী নিষিদ্ধ করতে হবে। জুলাই সনদ প্রকাশ ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এসব দাবিতেই মূলত তারা এখনো শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন।
আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা এবং জুলাই সনদ প্রকাশের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া আহত বিপ্লব বলেন, ‘আমি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ভর্তি ছিলাম, এখন রিলিজে আছি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির সঙ্গে আমাদের দাবি ছিল জুলাই সনদ প্রকাশ করা। একটা দাবি মেনে নিলো আরেকটা বলছে ৩০ দিনের মধ্যে করবে। ৯ মাসে সনদ দিতে পারল না, ৩০ দিনে কীভাবে করবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
রোববার দুপুরে শাহবাগ মোড়ে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা সড়কের চারটি প্রবেশপথে ব্যারিকেড দিয়েছেন। এতে শাহবাগ চত্বরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প রুট হিসেবে ফার্মগেট ও সায়েন্স ল্যাব এলাকার যানবাহন মৎস্য ভবন হয়ে হেয়ার রোড ব্যবহার করছে।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে তারা শাহবাগে সমবেত হন। যদিও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠন রাতের বেলায় আন্দোলন স্থগিত করে শাহবাগ ত্যাগ করে, আহত যোদ্ধারা সেখানে থেকে যান তাদের দাবি আদায় না হওয়ায়।
এদিকে রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালীন এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনীরও অনুমোদন দেওয়া হয়, যার ফলে ট্রাইব্যুনাল এখন দলীয় ভিত্তিতেও বিচার করতে পারবে।